• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশেষ পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান

আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরে দেশের অর্থনীতি সার্বিকভাবে সম্প্রসারিত হবে। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের মতো হয়ে যাবে। আমরা এ সুযোগকে এগিয়ে নিতে চাই। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি। যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আশা করি সেটা দেশের অর্থনীতি এবং দেশের মানুষের আর্থিক ক্ষমতা বদলে দেবে।

এম এ মান্নান, পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের দিকে এগুচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৮০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এসব প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকল্পে আরও ৩৪ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা খ্যাত ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত এর কাজ এগিয়ে নেওয়া এবং ঝুঁকি হ্রাসে বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর সমন্বয় করা প্রয়োজন। বর্তমানে সে কাজটি চলছে। মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করা হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। এটা শেষ করতে এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি সংস্থার মতামত চাইবো।
সূত্র জানায়, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থা একটি খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এছাড়া ডেল্টা উইং থেকে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি ‘ডেল্টা নলেজ ব্যাংক’ এবং ‘ডিজিটাল ডাটা স্টোর’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। সার্বিক কর্মকা-ের অর্থনৈতিক দিকগুলো নিশ্চিত করতে ‘ডেল্টা ফান্ড’ গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন আরও সহজ করার লক্ষ্যে ‘ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল’ এর চেয়ারপারসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট ১০মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন।
এ বিষয়ে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরে দেশের অর্থনীতি সার্বিকভাবে সম্প্রসারিত হবে। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের মতো হয়ে যাবে। আমরা এ সুযোগকে এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি। যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আশা করি সেটা দেশের অর্থনীতি এবং দেশের মানুষের আর্থিক ক্ষমতা বদলে দেবে।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক, নেদারল্যান্ড, এডিবি ও জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এ বিশাল উন্নয়ন প্রকেল্পে বিনিয়োগ এবং আর্থিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, ডেল্টা প্ল্যানে যেসব প্রকল্প যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো মূলত কর্মসূচি ভিত্তিক। এসব কর্মসূচি আলাদাভাবে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি হিসেবে একটি খসড়া পরিকল্পনাও প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থাগুলোকে ‘ডেল্টা প্ল্যানের’ আলোকে কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ২৫ সদস্যের একটি ফোকাল পয়েন্ট গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এই গ্রুপ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে তা সমন্বয় করবে।
সূত্র জানায়, সরকার দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে নেদারল্যান্ডের আদলে তৈরি ‘শতবর্ষীয় ডেল্টা প্ল্যান’ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’-কে বিবেচনা করছে। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০-এ বন্যা, নদীভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামীণ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ছয়টি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল রয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডেল্টা প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের ৮০টি প্রকল্পের মধ্যে ৭৫টি ভৌত অবকাঠামো এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা, দক্ষতা এবং গবেষণা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা এবং নদী ব্যবস্থাপনায় ৪৮ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এছাড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলে পানি সরবরাহের জন্য যথাক্রমে ৬৭ হাজার ১৫২ কোটি টাকা, নদীভাঙন রোধে ৬৮ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ৫ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা এবং খরাপ্রবণ এলাকায় ১৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি ৮৮,৪১০ কোটি টাকা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল ইতিমধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে জড়িত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড.এম কে মুজেরি বলেন, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব নির্দেশিকার আলোকে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি করা হয়েছে। কারণ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে ‘ডেল্টা প্ল্যান’-এর অনেক মিল রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.